গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইনের’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানা করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে এই আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেছিল সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত হয়। কোনো সময় একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতের সদস্যসংখ্যা চারজন হয়ে যায়। সে সময় ভোট হলে যদি দুই পক্ষে ভোট ২-২ অর্থাৎ সমান হয়ে যায়, তখন চেয়ারম্যানের ক্ষমতা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগের আইনের কয়েকটি জায়গায় থাকা ‘নাবালক’ শব্দটি পরিবর্তন করে ‘শিশু’ করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের’ খসড়া, ‘টেকসই সরকারি ক্রয়নীতি’ খসড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে ‘ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের’ খসড়ারও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের’ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এক ব্যক্তি বা একই পরিবার থেকে ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ার নেওয়া যাবে না। একটি পরিবার থেকে শেয়ারের পরিমাণ ৫ শতাংশের কম হলে একজন পরিচালক থাকবেন। ৫ শতাংশের বেশি হলে সর্বোচ্চ দুজন থাকতে পারবেন। এক পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবেন না। পরিচালকের মেয়াদ তিন বছর হবে। পরপর তিন মেয়াদে পরিচালক থাকতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ব্যক্তির তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকবে। ব্যাংকের নোটিশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ফিন্যান্স কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবে। কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে পরবর্তী সময়ে ব্যবসা বা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।