উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট ‘ডি ১ কাপ বাংলাদেশ ২০২৩ ’। ডিসকভারি ওয়ান লিমিটেডের আয়োজনে টুর্নামেন্টের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিল বিকাশ।
ইলেকট্রনিক স্পোর্টস বা সংক্ষেপে ই-স্পোর্টস বলতে বোঝায় অনলাইনভিত্তিক কম্পিউটার বা মোবাইল গেমিং টুর্নামেন্টকে। সারা বিশ্বে, বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে থাকা দেশগুলোতে এ ধরনের টুর্নামেন্ট বেশ জনপ্রিয়, যা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যেও সাড়া ফেলছে। এই টুর্নামেন্টগুলোয় খেলোয়াড়েরা একক বা দলগতভাবে অংশ নিয়ে থাকেন।
ডি ১ কাপ প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব অনলাইনে হলেও মূল পর্ব ‘ডি ১ কাপ বাংলাদেশ সেশন-২’-এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)। সারা দেশ থেকে তিন শতাধিক দল ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্টের তিনটি গেম ‘ভ্যালোরেন্ট’, ‘সিএস: গো’ ও ‘মোবাইল লিজেন্ডস: ব্যাং ব্যাং’ গেমে অংশ নেয়।
বিজয়ী দলগুলোর পাশাপাশি, টুর্নামেন্টের সেরা ৩২টি দল বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের ৪০ লাখ টাকার প্রাইজমানি দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
এই আয়োজনে অংশ নিয়ে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘তরুণ গেমাররা অনেক উৎসাহী এ ধরনের কমপিটিশনে এসে। তাদেরকে ভালো প্ল্যাটফর্ম দিতে হবে, মোটিভেট করতে হবে। আমাদের এই গেমাররা বৈশ্বিক কম্পিটিশনগুলোতেও বিজয়ী হবে বলে বিশ্বাস করি।’
বিশ্বজুড়ে গেমারদের কাছে জনপ্রিয় নাম ‘ই-স্পোর্টস’। বাংলাদেশেও দিন দিন এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশের গেমিং খাতে নতুন মাইলফলক তৈরির লক্ষ্যে ডিসকভারি ওয়ান লিমিটেডের এই আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয় বিকাশ।
গ্লোবাল ডাটার তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বে ই-স্পোর্টসের মার্কেট ভ্যালু ছিল ১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাজারটি প্রতিবছর ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হারে ২০৩০ সাল নাগাদ ৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে অনুমান করছে ডিসকভারি ওয়ান লিমিটেড।