আসে সৌদি আরবসহ আরবি ভাষাভাষী দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৮০ শতাংশ রেমিট্যান্স আসে বলে মন্তব্য করেছেন দারুল উলুম মাদরাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ আরব দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে। কিন্তু পেশাগতভাবে আরবি ভাষায় দক্ষ না হওয়ায় তারা সঠিক বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে দারুল উলূম কামিল মাদরাসায় আরবি ভাষা শিক্ষা কোর্স উদ্বোধন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত মন্তব্য করেন সুজন।
আরবি ভাষা একটি বহুল ব্যবহৃত ভাষা মন্তব্য করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত ভাষাগুলোর মধ্যে আরবি ভাষার অবস্থান ষষ্ঠ নম্বরে। পৃথিবীর প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে। যার মধ্যে প্রধানত সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো উল্লেখযোগ্য। গোটা পৃথিবীতে বর্তমানে ২২টি দেশের রাষ্ট্রভাষা আরবি। আরব রাষ্ট্র ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে অতি গুরুত্বের সাথে এ ভাষার চর্চা হয়। আরবি ভাষার যেমন রয়েছে ধর্মীয় গুরুত্ব তেমনি রয়েছে বৈষয়িক গুরুত্ব। আরবি ভাষা এখন শুধু কোরআনের ভাষা নয়, অর্থনৈতিক বিবেচনায় আরবি ভাষা বাংলাদেশের জন্যও অতি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি ধরা হয় আমাদের রেমিট্যান্সকে।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও আরবি ভাষা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আরবি ভাষা ইসলামি জ্ঞানচর্চা ও মুসলিম সমাজ-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসলামের যে কোনো বিধান আবিষ্কার করতে হলে আরবি ভাষা জানতে হবে। কোরআন ও হাদিসের সঠিক মর্ম বের করতে হলেও আরবি ভাষা জানা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই ইসলামের সব বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান অর্জনের তাগিদে তথা ধর্মীয় প্রয়োজনে আরবি ভাষা শিক্ষা একান্তই জরুরি। এছাড়া যারা আরবি শিক্ষা অর্জন করবে তারা দুনিয়া এবং আখিরাতে ভালো ফল অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন খোরশেদ আলম সুজন।
মাদরাসা অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মুহসিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমইবি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, শায়খুল হাদিস আল্লামা মকছুদ আহমদ, সহকারী অধ্যাপক ফরিদুল আলম, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা অলি আহমদ, আরবি প্রভাষক ড. মুফতি মাহবুবুর রহমান, অভিভাবক মোহাম্মদ নোমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কোর্স পরিচালক ও আরবি প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ মুনির উদ্দীন।