মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে উৎপাদন শুরু ৫ প্রতিষ্ঠানের

মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে উৎপাদন শুরু করেছে ৫টি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণাধীন আরো ২১টি কারখানা। সাগরপাড়ের এই শিল্পাঞ্চলে এরই মধ্যে মিলেছে সাড়ে ১৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বলছে, এখানে কারখানা করতে জরুরি চাহিদায় দ্রুত মিলবে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ।

সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে সাগরপাড়ে বালু ফেলে গড়া হয়েছে চর। ১৭ হাজার একরের এই জমিতে ৭ বছরের কর্মযজ্ঞ প্রায় শেষ। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ মিটার উচু বাঁধে এখন সুরক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর।

এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার একর জমি বরাদ্দ নিয়েছে ১৬১টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেছে ৫টি, নির্মাণাধীন ২১ প্রতিষ্ঠানের কয়েকটির উৎপাদন শুরু হচ্ছে ৬ মাসের মধ্যে।

সামুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা গত এক বছর ধরে উৎপাদনে আছি এবং বাজারজাত করছি। এবং এতে যেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে যে এক মিলিয়ন রানিং মিটারের যে ডিমান্ডটা, তার মধ্যে ২ লাখ মিটার উৎপাদন করে বাজারজাত করার সক্ষমতা আমাদের আছে।’

বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ মান্নান খান বলেন, ‘জায়গাটা একসাথে একশ একর পাওয়া যাচ্ছিল এখানেই। যেসব ইনসেনটিভ দরকার গাড়ি উৎপাদন করার জন্য.. ট্যাক্স ইনটেনসিভ দরকার, পলিসি সাপোর্ট দরকার সেটা বেজা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে আসছে। যার জন্য আমরা এই জায়গাটা সিলেক্ট করেছি।’

এই শিল্পনগরে কেন্দ্রীয় গ্যাস সেন্টার থেকে শুরু করে, স্থাপণ করা হয়েছে বিদ্যুতের গ্রিড লাইনের সাব স্টেশন। পরিবেশ দূষণরোধে হচ্ছে ৩টি বর্জ্য শোধনাগার। রাস্তা, জলাশয়, উন্মুক্ত জায়গা থাকবে মোট জমির ৪০ শতাংশ ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, ‘বেজার হাতে খুব বেশি যে জমি পড়ে আছে এরকম নয়। খুব সামান্যই জমি আছে এবং যারা ইমিডিয়েট কাজ করতে চান, এমন ডেভেলপারদের দেওয়ার জন্যই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদি কেউ চান ইমিডিয়েট করতে, তাদের জন্য আমরা ফ্যাসিলিটেড করে দেব।’

২০৪০ সাল নাগাদ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কিছু জমি যুক্ত হলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের আয়তন ছাড়াবে ৩৩ হাজার একর।