চামড়া শিল্পে নীতি সহায়তা চান ব্যবসায়ীরা

নীতি সহায়তা পেলে রপ্তানিমুখী চামড়াখাতে নতুন সম্ভবনার দুয়ার খুলে যাবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বৈশ্বিক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের-এলডব্লিউজি সনদ পাওয়া কারখানা বাড়ানো গেলে মিলবে রপ্তানিখাতের চামড়াজাত পণ্যের ন্যায্য দাম।

কোভিড-পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলছে। রপ্তানি খাত ত্বরান্বিত করতে তৈরি পোশাক খাত ও প্রবাসী আয়ের সঙ্গে দেশের চামড়া শিল্পকেও এগিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

২০১৭ সালে মাত্র ৩৫ জন কর্মীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে শতভাগ রপ্তানিমুখী ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার। ইতালি, জার্মানিসহ বিশ্বের ২৮টি দেশে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার জোড়া জুতা রপ্তানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১০ লাখ জোড়া জুতা বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্র ঠিক করেছে তারা। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে মনে করছে ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে আমাদের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি এ খাতের নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে পিছিয়েছে। চামড়াজাত পণ্য বিশ্ববাজারের একটি ফ্যাশনেবল পণ্য। সেভাবে দেশে ফ্যাশনের হালনাগাদও হচ্ছে না। ফলে এ খাতটি চলতি অর্থবছরে এসে একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে।’

দেশে এখন মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠানের এলডব্লিউজি সনদ রয়েছে। এর সংখ্যা বাড়ানো গেলে বিদেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য সঠিক দাম পাবে বলেও জানান উদ্যোক্তারা।

ক্রাফটসম্যান তাদের রপ্তানি বাজার বাড়াতে স্থানীয় বাজার থেকে বিনিয়োগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে ১০ টাকা মূল্যমানের ৫০ লাখ শেয়ার অফলোড করে শেয়ার বাজার থেকে ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করার কথাও জানান তারা।