কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্কের কারণে কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে প্রতিকূলতায় পড়তে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্যামসাং মোবাইল ফোনসহ ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরি করছে। চলতি বছর থেকে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে গাড়ি এসেম্বল করছে হুন্দাই। দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে এসব কোম্পানি ভালো করছে। তবে, কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক, মোবাইল চোরাচালান এবং পুরনো গাড়ির বিক্রির কারণে এসব কোম্পানিকে প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম ও বিনিয়োগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস।
কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতায় (সিএসআর) কোরিয়ান কোম্পানিগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিএসআর শুধু একটি নিছক শব্দ নয়, আমরা যে কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করি তার প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়নে অপার সম্ভাবনা দেখিয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চায়, যেমনটি আমরা আরএমজি সেক্টরে করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি, অনেক চলমান অবকাঠামো প্রকল্প খুব সহজে অগ্রগতি করবে এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দুই শতাধিক কোরিয়ান কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইয়ংওয়ান, স্যামসাং, এলজি, উরি ব্যাংক ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানের সিএসআর কার্যক্রমে আমরা খুব খুশি। কেননা এসব প্রতিষ্ঠান শুধু লাভের দিকে না তাকিয়ে, মানবতার দিকেও লক্ষ্য রাখে।
সেমিনারে বাংলাদেশে কোরিয়ান কোম্পানির সিএসএর কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে কোরিয়ান কোম্পানির সিএসআর রিপোর্ট উদ্বোধন করা হয়। সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বিডার পরিচালক জসিম উদ্দিন খান, কোটরার কান্ট্রি ডিরেক্টর স্যাম সু কিম, সিএসআর সেন্টারের সিইও শাহমিন এস জামান।