কর্ণফুলী নদী শুধু চট্টগ্রাম নয় দেশের অর্থনীতির প্রাণ। কর্ণফুলী নদীর সুরক্ষা তাই জাতীয় তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়। নদীর আনোয়ারা অংশে বর্তমানে কর্ণফুলীর প্রস্থ ৪৫০ মিটারের কিছু বেশি, দুই দশক আগেও প্রস্থ ছিল প্রায় এক হাজার মিটার।অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে কর্ণফুলী নদী ধীরে ধীরে ধংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন৷
রবিবার (২৪ শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে নদী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও র্যালীর আয়োজন করে কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদ।
কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
শেখ দিদারুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্চালনায় ও সাংবাদিক কামাল পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড চট্টগ্রামের ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেন, জাতীয় আয়ের ৮৫ শতাংশ আসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কর্ণফুলী ও হালদা নদীকে রাজনৈতিকভাবে একশ্রেণীর নদী খেকোরা দখল করে নিচ্ছে। ‘
প্রফেসর ইদ্রিস আলী বলেন, শুধু চট্টগ্রাম নয়, ‘ দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ কর্ণফুলী নদী। কর্ণফুলী নদী বাঁচলে বন্দর বাঁচবে। বন্দর বাঁচলেই বাঁচবে দেশ, সচল থাকবে দেশের অর্থনীতি। এই কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতির সম্পর্ক সরাসরি। ‘
সমাবেশে সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান বলেন, কর্ণফুলী নদী দখল করে তৈরি হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘ড্রাই ডক’। এতে নদী সংকুচিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, নদীসংক্রান্ত আইন ও হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে এই স্থাপনা তৈরি হচ্ছে।
কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে হলে এখনই কর্ণফুলী নদী দখল করে গড়ে উঠা এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। কর্ণফুলী নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা বেসরকারি কনটেইনার টার্মিনালসহ বাণিজ্যিক স্থাপনা, অবৈধ শিল্পায়ন বন্ধ করা দরকার। ‘
পরিবেশকর্মী আবুল হাসেম রাজু বলেন, কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে আনোয়ারা উপজেলার বদলপুরা মৌজায়, সাগরের মোহনা থেকে দুই কিলোমিটার উজানে এই ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে। যেখানে এই নির্মাণকাজ চলছে, নদীর ঠিক অন্য পারে একইভাবে নদী দখল করে আরও স্থাপনা তৈরি হয়েছে, কিছু স্থাপনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। নদীটি এখানে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
রাজনৈতিক সংগঠক মারুফ হাসান রুমি বলেন,’ নদীর দুই পাড় যেভাবে দখল হচ্ছে, তেমনি পুরো চট্টগ্রামের ময়লা আবর্জনা, মলমূত্র এবং পলিথিনে জমাটবদ্ধ হয়ে নদীর তলদেশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে। তাই এই প্রাণের নদীকে বাঁচাতে চট্টগ্রাম বাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। ‘
এসময় ব্যারিস্টার সুলতান আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাকের হোসেন খোকন, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার,সাংবাদিক ওচমান জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক শেখ আলাউদ্দীন, সাংবাদিক মুজিব উল্লাহ তুষার, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্ল্যাহ্ বাহার,সাংবাদিক মন্জুরুল ইসলাম মন্জু, ছাত্র নেতা আবু নাসেরসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে র্যালী জামাল খান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। র্যালীতে পরিবেশ ও নদী সুরক্ষার বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে অংশ নেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
কর্ণফুলী নদী শুধু চট্টগ্রাম নয় দেশের অর্থনীতির প্রাণ। কর্ণফুলী নদীর সুরক্ষা তাই জাতীয় তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়। নদীর আনোয়ারা অংশে বর্তমানে কর্ণফুলীর প্রস্থ ৪৫০ মিটারের কিছু বেশি, দুই দশক আগেও প্রস্থ ছিল প্রায় এক হাজার মিটার।অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে কর্ণফুলী নদী ধীরে ধীরে ধংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন৷ রবিবার (২৪ শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে নদী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও র্যালীর আয়োজন করে কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদ।
কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
শেখ দিদারুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্চালনায় ও সাংবাদিক কামাল পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।
ড. ইদ্রিস আলী বলেন, শুধু চট্টগ্রাম নয়, ‘ দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ কর্ণফুলী নদী। কর্ণফুলী নদী বাঁচলে বন্দর বাঁচবে। বন্দর বাঁচলেই বাঁচবে দেশ, সচল থাকবে দেশের অর্থনীতি। এই কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতির সম্পর্ক সরাসরি। ‘
এসময় সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান বলেন, কর্ণফুলী নদী দখল করে তৈরি হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘ড্রাই ডক’। এতে নদী সংকুচিত হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, নদীসংক্রান্ত আইন ও হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে এই স্থাপনা তৈরি হচ্ছে।
কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে হলে এখনই কর্ণফুলী নদী দখল করে গড়ে উঠা এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। কর্ণফুলী নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা বেসরকারি কনটেইনার টার্মিনালসহ বাণিজ্যিক স্থাপনা, অবৈধ শিল্পায়ন বন্ধ করা দরকার। ‘
পরিবেশকর্মী আবুল হাসেম রাজু বলেন, কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে আনোয়ারা উপজেলার বদলপুরা মৌজায়, সাগরের মোহনা থেকে দুই কিলোমিটার উজানে এই ড্রাই ডক তৈরি হচ্ছে। যেখানে এই নির্মাণকাজ চলছে, নদীর ঠিক অন্য পারে একইভাবে নদী দখল করে আরও স্থাপনা তৈরি হয়েছে, কিছু স্থাপনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। নদীটি এখানে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
রাজনৈতিক সংগঠক মারুফ হাসান রুমী বলেন,নদী হলো জীবন্ত সত্তা। পৃথীবির বৃহত্তর বদ্বীপ এই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। আর এই চট্টগ্রামের প্রাণ চট্টগ্রাম বন্দর গড়ে উঠেছে এই কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে কিন্তু দূর্নীতিবাজ আমলা ও রাজনৈতিক নির্লিপ্ততায় নদীর দখলদারদের উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।