এবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে রিজেন্ট টেক্সটাইলের কারখানাও বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। মঙ্গলবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে স্টক এক্সচেঞ্জটি। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ২৪ সেপ্টেম্বর দুলামিয়া কটন বিষয়ে একই রকম তথ্য প্রকাশ করে ডিএসই।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিয়মিতভাবে কোম্পানি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করছে না বা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন তালিকাভুক্ত ১৭ কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা জানতে সরেজমিন তদন্ত করছে স্টক এক্সচেঞ্জটি।
স্টক এক্সচেঞ্জটির কর্মকর্তারা জানান, তাদের পরিদর্শক দল পর্যায়ক্রমে এসব কোম্পানি পরিদর্শন করবে।
ইতোপূর্বে কারখানা বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা পাঁচ কোম্পানির মার্কেট ক্যাটেগরি পরিবর্তন করে ‘জেড’-এ নামিয়েছিল ডিএসই। এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রশ্ন তুললে ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানির প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ক্যাটেগরি নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাবে সায় দেয় বিএসইসি। এর পরই বিভিন্ন কোম্পানির কারখানা ও নিবন্ধিত কার্যালয় পরিদর্শন করা হচ্ছে।
রিজেন্ট টেক্সটাইল নামের বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৫ সালে। বর্তমানে এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ২০২০ সালে ১ শতাংশ নগদ ও ১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার পর তারা আর কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি শেয়ারহোল্ডারদের। কোম্পানির শেয়ারটির ফ্লোর প্রাইস ৯ টাকা ৮০ পয়সা দরে আছে। এর লেনদেন নেই বললেই চলে।
বন্ধ হলেও কোম্পানিটির শেয়ারদর এখন ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সা, যা ফ্লোর প্রাইসের থেকে ৫০ পয়সা বেশি।
নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে দুলামিয়া কটনের নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছর পর্যন্ত কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। নিরীক্ষক আরও জানায়, কোম্পানির ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার সম্পদের বিপরীতে এর দায় ৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি ছিল। পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বন্ধ এ কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ৭০ টাকা ৮০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছে।
এ ছাড়া মাত্র ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি নর্দার্ন জুট সর্বশেষ ২০২০ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। বন্ধ হলেও কোম্পানিটির শেয়ারদর এখন ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সা, যা ফ্লোর প্রাইসের থেকে ৫০ পয়সা বেশি।
বাজার সংক্ষেপ: ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় লেনদেন শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত ওই ধারা বজায় থাকেনি। শেষ পর্যন্ত ৬৯ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৭৮টির দর কমেছে, অপরিবর্তিত থেকেছে ১৪০টির দর। ডিএসইএক্স সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৮৩ পয়েন্টে উঠেছে। দিনব্যাপী কেনাবেচা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকার শেয়ার।