আইটি রপ্তানিতে বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার করা হয়েছে। সেমিনারে জানানো হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ক্যানবেরা হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।
এ সেমিনারে জুম প্ল্যাটফর্মে অংশ নেন বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ।
হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী বলেছেন,
তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
তাছাড়া আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করতে পারবে।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এবিবিসি), অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, সিডনির সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে কারণে পিছিয়ে বাংলাদেশ

তিনি উল্লেখ করেন, তথ্য প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। এক্ষেত্রে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ৭.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অস্ট্রেলিয়ায় তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড কমপিউটিংসহ পাঁচটি সম্ভাবনাময় রপ্তানির ক্ষেত্র উল্লেখ করেন রাসেল টি আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মনোরঞ্জন পাল বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম মার্কেট।
অস্ট্রেলিয়ায় সাইবার সিকিউরিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রচুর চাহিদা আছে। তাছাড়া, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সফটওয়্যার উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার চাহিদাও সে দেশে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *