আমলাতন্ত্রই নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত প্রসারে বাধা

করছাড় দেওয়ার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সেবাপ্রাপ্তিতে ধীরগতির কারণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের প্রসার আটকে আছে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সোমবার সংস্থাটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতবিষয়ক এক ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য দিয়েছে। সংলাপের বিষয় ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ: চায়নার কেস স্টাডি’। এ বিষয়ে প্রবন্ধ তুলে ধরেন সিপিডির রিসার্স অ্যাসোসিয়েট মাশফিক আহসান হৃদয়।

এতে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা থাকার পরও ১৩ বছর ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এতে নেত্বত্ব দিয়েছে যুক্তরাজ্য, হংকং, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। অথচ বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০ শতাংশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে আগ্রহী।

২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য ৪১০০ মেগাওয়াট | The Daily  Star Bangla

এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ রয়েছে। গত ১৩ বছরে দেশের জ্বালানি খাতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বেশির ভাগ বিনিয়োগই হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানিকেন্দ্রিক।

সংলাপে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আটটি প্রস্তাব দেয় সিপিডি। সংস্থাটি জানায়, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে একটি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ জনবল, বিনিয়োগবান্ধব প্রণোদনা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার এ খাতে নানা রকম করছাড় দিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সেবাপ্রাপ্তিতে ধীরগতিসহ একাধিক জটিলতার সম্মুখীন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *